শীতকাল রচনা | আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল | Sitkal Rachana PDF

আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা pdf দেওয়া হলো শীতকাল রচনা চতুর্থ শ্রেণী sitkal rachana in bengali class 5 class 6 class 7 শীতকাল অনুচ্ছেদ রচনা
শীতকাল রচনা Class 7 Class 6 Class 5

আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল

প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আজকের এই পোষ্টে আমরা আলোচনা করব আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা। শীতকাল আমাদের সকলের প্রিয় ঋতু এবং শীতকাল রচনা প্রায়ই পরীক্ষায় আসে শীতকাল রচনা class 5 থেকে class 10 সমস্ত শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

শীতকাল রচনা ভূমিকা

আমাদের দেশ হল ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ। আমাদের দেশে প্রধানত ছয়টি ঋতু - গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত ঋতু দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম একটি ঋতু হলো শীতকাল। শীত ঋতুটি বছরের সবচেয়ে ঠান্ডা ঋতু। অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে বায়ুমণ্ডলে তাপমাত্রা খুব কম হয়ে যায়, প্রবল বেগে বাতাস বয় এবং শীতকালর দিন ছোট হয় এবং রাত বড় হয়।

শীতকালের সময়সীমা

শীতকালের সময়সীমা প্রধানত দুই মাস। বাংলা মাসের পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস নিয়ে শীতকাল। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ ও শুরুর মাস দুটিতে শীতকাল বিরাজ করে তবে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত শীতের অনুভূতি হয়ে থাকে।

শীতের সকাল

শীতকালের সকালে মেঘমুক্ত নীল আকাশ দেখা যায় ঘাসের উপরে কুয়াশা পড়ে থাকে। আবার শীতের সকালে চারিদিক কুয়াশায় ভরে যায় কুয়াশার কারনে অনেক সময় সূর্যকে দেখতে পাই না। উত্তর দিক থেকে ঠাণ্ডা শুষ্ক বাতাস বইতে থাকে, সূর্য এই সময় দক্ষিণ দিকে হেলে পড়ে। সূর্যের তাপ এই সময় অনেক কমে যায় দিন ছোট ও রাত বড় হয়। শীতের মৌসুমে পাহাড়ি এলাকা গুলিকে খুব সুন্দর দেখায় কারন এই সময় সেখানে সবকিছুই বরফের চাদরে মোড়া থাকে। এই সময় রাত্রে শিশির পড়ে শীতের সকালে ঘাসের উপর পড়ে থাকা কুয়াশা দেখতে মুক্তোর মতো লাগে। এই সময় নানান মরশুমি ফুলে চারিদিক ভরে যায়। গোলাপ, ডালিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের ফুল ফুটে পরিবেশকে নতুন রূপ দেয় প্রকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। 

শীতকালের সবুজ শাকসব্জি ও ফল

শীতকালে অনেক নতুন শাকসব্জি পাওয়া যায়। শীতকাল গাজর, মটরশুঁটি, বেগুন, ধনে, মুলার, বাধাকপির মতো প্রচুর সবুজ শাকসব্জি দেখতে পাওয়া যায় আবার শীতকালে প্রচুর ফল পাওয়া যায় যেমন আঙ্গুর, কমলা, আপেল, পেয়ারা, পেপে, আখের রস, আনারস ইত্যাদি।

উৎসব ও পার্বণ

শীতকালে নানান পার্বণ ও উৎসবের আগমন হয় যেমন বড়দিন, পৌষ পার্বণ, নবান্ন , কালিপুজা, ভাইফোটা, সরস্বতী পুজা, বড়দিন ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। শীতকাল হল ভ্রমণ ও বনভোজনের জন্য উপযুক্ত সময় এই সময় গ্রামে গ্রামে মেলা ও সার্কাস বসে।

শীতকালের গুরুত্ব

আমাদের সকলের জীবনে শীতকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ শীতের শুরুতে গমের মতো ফসল বপন করা হয়। এই সময় চাষীরা মাঠ থেকে ধান কেটে নিয়ে আসে। শীতকালে প্রচুর শাকসবজি এবং ফলের চাষ হয়ে থাকে তাই শীতকাল আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঋতু।

শীতকালের সুবিধা ও অসুবিধা

শীতকালে প্রচুর পরিমাণে টাটকা ও সতেজ শাক-সব্জি পাওয়া যায় যেমন: ফুলকপি, মূলা, বাঁধাকপি, টমেটো, শিম, মটরশুঁটি, বীট, গাজর ইত্যাদি। এই সময় বিভিন্ন মুখরোচক খাবার পাওয়া যায় যেমন খেজুরের রস এবং এই রস থেকে তৈরি নলেন গুড় ও পাটালি। শীতকালে মানুষের পরিশ্রম ও হজম ক্ষমতা বাড়ে কিন্তু শীতকালে গরিব মানুষ শীতের পোশাক কিনতে না পারায় খুব কষ্ট পায়। প্রচণ্ড শীতের কারণে বহু মানুষ মারা যায়। এই সময় মানুষের ঠান্ডায় হাত-পা ফেটে যায়, সর্দিকাশি, জ্বর ইত্যাদি রোগ হতে দেখা যায়।

উপসংহার

আমাদের অনেকেরই প্রিয় ঋতু শীতকাল আনন্দ ও কষ্ট মিলিয়ে এই ঋতু শীতকাল তুষারময় এবং আরামদায়ক ঋতু। ধীরে ধীরে উত্তরের বাতাস কমতে থাকে তখন দিন বড় হতে শুরু করে। এগিয়ে আসে শীতের বিদায়পালা।

কথোপকথনে যোগ দিন